নিজস্ব সংবাদদাতা: IIM জোকা ধর্ষণ-কাণ্ডে ধোঁয়াশা: নির্যাতিতার বয়ানে অসঙ্গতি দেখছে পুলিশ
IIM জোকার বয়েস হোস্টেলে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়ালেও, অভিযোগকারিণীর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি দেখতে পাচ্ছে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণী অভিযোগ করেছেন—গত শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ তিনি কাউন্সেলিং সেশনের জন্য IIM ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। কিন্তু ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় গেটের কোনও কর্মী তাঁর পরিচয়পত্র বা নথি যাচাই করেননি, যা সচরাচর নিয়মের বাইরে।
অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্ত তরুণ তাকে হোস্টেলে কাউন্সেলিং করার জন্য অনুরোধ করেন, দাবি করেন ‘ব্যক্তিগত পরিবেশ’ নাকি উপযুক্ত। সেখানেই তাঁকে স্টিলের বোতলে জল ও পিৎজা দেন। তরুণীর দাবি, খাবার গ্রহণের কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মাথা ঘোরাতে থাকে। ঘরজুড়ে ছড়িয়ে ছিল বিভিন্ন বোতল, আর অভিযুক্তের আচরণ ছিল ‘মাদকগ্রস্ত’ ব্যক্তির মতো।
বাথরুমে যেতে চাওয়ায় বাধা পান তিনি। অভিযুক্ত নাকি বলেন, “তোমাকে অন্য কেউ দেখলে সমস্যা হবে।” তর্কের একপর্যায়ে অভিযুক্ত চুল টেনে ধরে, গলা চেপে ধরে এবং মারধর করে। অভিযোগকারিণী বলেন, এরপর তাঁর স্মৃতি ঝাপসা হয়ে আসে।
জ্ঞান ফেরার পর তিনি নিজেকে ছাত্র হোস্টেলের বিছানায় আবিষ্কার করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে পরিচিতের সাহায্যে থানায় যান।
তবে, পুলিশ জানিয়েছে—আজ তাঁকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হলেও তরুণী রাজি হননি, যা তদন্তে অনিশ্চয়তা বাড়াচ্ছে। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে, তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে IIM ক্যাম্পাস ও প্রশাসনে শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা প্রোটোকল খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া।
Total Views: 35