নিজস্ব সংবাদদাতা: সঞ্জয়ের আর্জিতে চমকে উঠল বাংলা!
আরজি কর কাণ্ডে যাবজ্জীবন পেয়েও হাল ছাড়লেন না দোষী সিভিক।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই সঞ্জয় করফা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিম্ন আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। চাকরি খারিজও করে রাজ্য সরকার।
কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সঞ্জয়ের হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করায় রীতিমতো অবাক বাংলার জনতা। এই নৃশংস ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরও হাল না ছেড়ে আইনি লড়াইয়ে ফের মাঠে নামায় নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধছে।
আগামী ৯ অগাস্ট, এই নারকীয় ঘটনার এক বছর পূর্ণ হবে। তার আগেই সঞ্জয়ের হাইকোর্টে যাওয়ার পদক্ষেপ একদিকে যেমন আইনি প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক ধাপ, তেমনই অন্যদিকে নতুন করে ঘা দিচ্ছে নির্যাতিতার পরিবারকে।
তাঁদের দাবি,
“সঞ্জয় করফা একা নয়। এর পিছনে রয়েছে বড় মাথা এবং সংগঠিত একটি গ্যাং। সঠিক তদন্ত হলে আরও অনেকের মুখোশ খুলে যাবে।”
এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে— শুধুই সঞ্জয় করফার শাস্তি যথেষ্ট কি? সিবিআই তদন্তে বিলম্ব, রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন, আর অভিযুক্তদের প্রভাবশালীদের যোগসূত্র নিয়ে আশঙ্কা সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে।
নির্যাতিতার পরিবারের আহ্বান—
“আসল অপরাধীরা ধরা না পড়লে বিচার অপূর্ণ থেকে যাবে।”
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে সাধারণ মানুষ ও বিরোধীরা।
Total Views: 107