নিজস্ব সংবাদদাতা: “কলেজে কলেজে চাকরি তৃণমূলের নেতা-কর্মীর!” — শুভেন্দুর বিস্ফোরক দাবি, পাল্টা জবাব কুণালের। রাজ্যের কলেজগুলিতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ছাত্রনেতা ও কর্মীদের বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি ‘ভাইপো গ্যাং’ নামক একটি তালিকায় ৫০ জন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP) নেতা ও কর্মীর নাম-ছবি তুলে ধরেন, যাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে চাকরি পেয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
শুভেন্দুর অভিযোগ,
“যোগ্যরা চাকরি পাননি। বরং প্রাক্তন বিধায়কদের সন্তান থেকে শুরু করে TMCP নেতারা কলেজে অশিক্ষক কর্মী কিংবা প্রফেসর হয়ে গিয়েছেন। কলেজের ছাত্র সংসদ রুম নোংরামির জায়গা হয়ে উঠেছে। এক শ্রেণির প্রিন্সিপ্যাল ভয়ে চুপ, বাকিরা অযোগ্য হয়ে সেই পদে।”
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন,
কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার ছেলে পিনাকী সাঁতরা এখন কলেজ কর্মী
শিল্পা দাস হিরালাল মজুমদার কলেজে
উত্তরণ বন্দ্যোপাধ্যায় আশুতোষ কলেজে
লগ্নজিতা চক্রবর্তী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর
এই সমস্ত ছবির পর শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, “ইচ্ছে করলে আরও ৯৫০ জনের নাম আনতে পারি।”
তাঁর অভিযোগ আরও, “সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত হলেও আরজি কর কাণ্ডে মূল দোষীরা ধরা পড়ছে না। তিলোত্তমার মৃত্যুর এক বছর হতে চলেছে, কিন্তু বিচার হয়নি। ৯ আগস্ট বিশাল জমায়েত হবে, নবান্ন অভিযানে লক্ষাধিক মানুষ আসবে।”
অন্যদিকে শুভেন্দুর অভিযোগের জবাব দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
তাঁর বক্তব্য,
“যখন শুভেন্দু তৃণমূলে ছিলেন, তখন তাঁর লোকজন কলেজে কলেজে বসানো হয়েছিল। এখন বললে, ধরে নিতে হবে ছাত্র-যুবরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে আকৃষ্ট হচ্ছে। বিজেপি বা বামেদের মধ্যে এমন কেউ নেই।”
রাজনীতির ময়দানে ফের উষ্ণ হাওয়া ছাত্র রাজনীতি ও কলেজে চাকরি নিয়েই। ২১ জুলাই শহিদ দিবস এবং ৯ আগস্ট নবান্ন অভিযানের আগে এই ‘দাদাগিরি বনাম যোগ্যতা’র বিতর্কে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতি।